মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী ও তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে শুক্রবার এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আইসিসিরি মোট সদস্য রাষ্ট্র হলো ১২৪টি দেশ। যুক্তরাজ্যও এর অন্যতম সদস্য মধ্যে রয়েছে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, ‘ওয়ান্টেড ম্যান’ নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাজ্যে আসে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এবিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো মামলা নিয়ে কথা বলবো না। ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই সব সময় তা মেনে চলবে।’
এরআগে অপর এক ব্রিটিশ মুখপাত্র আরো কঠোর ভাষায় এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। কারণ, এই আদালত পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি নিয়ে তদন্ত ও বিচার করার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।’
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।
নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা নিয়ে আইসিসি বলেছে, ‘ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এই দুই জনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।’
আইসিসি আরো বলেছে, দুই জনের প্রত্যেকের অন্যদের সাথে মিলে যৌথভাবে সহ-অপরাধী হিসেবে নিম্ন উল্লেখিত অপরাধের জন্য ফৌজদারি দায়বদ্ধতা রয়েছে: যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে ক্ষুধার ব্যবহার এবং হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজের মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটন।’