ওই তরুণের নাম মহিম মালাকার। তিনি জানালেন, গাছটি তাঁদের বাড়িতেই। বাড়ির দিঘির পাড়ে অনেক অনেক বছর ধরে আছে তমালগাছটি। কে রোপণ করেছেন, কীভাবে ওখানে উঠেছে, তা তাঁর জানা নেই। গাছটির বয়স নিয়েও তাঁর পরিষ্কার ধারণা নেই। তাঁর মতে, তাঁর বাবার বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর। বাবা ছোটবেলা থেকে গাছটিকে দেখেছেন বলে তাঁদের জানিয়েছেন। এতে তরুণের অনুমান, গাছটির বয়স ১০০ তো হবেই। আবার অন্যদের ধারণা, অতটা না–ও হতে পারে। তবে গাছটি যে অনেক ঝড়ঝাপটা সয়ে ৫০ পেরিয়ে গেছে, এ নিয়ে কারও কোনো দ্বিধা নেই।
মহিম মালাকার জানিয়েছেন, এখন গাছটির পাতা ঝরার সময়। আস্তে আস্তে পাতা ঝরে যাবে। বৃষ্টি হলে আবার পাতা ফুটবে, পাতায় ভরে উঠবে গাছটি। তখন গাছের ডালে ছোট ছোট ফুল ফুটবে। তারপর ফল আসে। অনেক পাখি আসে। গাছটি দেখতে অনেক মানুষ আসেন। গাছটি যে দিঘির পাড়ে ঝাঁকড়া মাথায় দাঁড়িয়ে আছে, ১২ মাস পথিকের চোখ কাড়ছে; সেই দিঘিতে আষাঢ়-শ্রাবণজুড়ে ফুটে থাকে পদ্মফুল। এবারও অনেক পদ্মফুল ফুটেছিল। সেই ফুলও টানে ব্যস্ত সড়কের পথচারীদের।
পাশেই সবজিখেতে জোড়া মহিষের হাল দিয়ে আলু রোপণের জন্য মাটি প্রস্তুত করছিলেন মিহি রঞ্জন দাশ। তিনি বলেন, ‘গাছটিতে বরইয়ের (কুল) মতো অনেক ফল আসে। অনেকে নিয়ে যান।’