শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, কদিন আগেও এসব স্থানে অনেক শাপলা ছিল। শুধু লাল শাপলাই নয়, সাদা শাপলাও ছিল অনেক দূর পর্যন্ত। যত দূর চোখ গেছে, লাল ও সাদা শাপলা-শালুকে ভরা ছিল মাঠ। এখন পানি কমে গেছে। ফুলও কিছুটা কমেছে।
তবে মাঠ ভরা না থাকুক, কোথাও না কোথাও এখনো লাল শাপলা লাজুক মুগ্ধতা ছড়িয়ে মাঠকে রঙিন করছে, কারও না কারও চোখকে তাদের দিকে টানছে। ফরিদপুর গ্রামের ছোট হাওরের মাঠে এ রকমই মুগ্ধ করা শাপলার দেখা মেলে। ওখানে মন ভালো করা লাল-উজ্জ্বল ভালোবাসা যেন ফুটে আছে, হাসছে। জায়গাটি পড়েছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নে। কাছেই কাউয়াদীঘি হাওর। হাওরপারের গ্রাম এটি। মাঠের ভেতর সারা রাত ধরে শাপলারা হেসেখেলে পাপড়ি মেলেছে। তখনো সকাল হালকা কুয়াশায় জড়ানো, শান্ত। রোদের তেজ পাপড়িতে পড়েনি। রোদ বাড়লে একটা সময় হয়তো সবগুলো ফুল চোখ বুজবে। হেমন্তের সোনার সকালে তখন শাপলাগুলো কোথাও এক–দুটো, কোথাও ছোট ছোট দল বাঁধা কিশোরীর মতো দুলছে, নাচছে। আবার ঝাঁক ধরে দুলছে অন্যখানে।