প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিকের পাঠ্য বইয়ে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। হাওরাঞ্চলের সব শিশুরা যাতে স্কুলে যেতে পারে, তার ব্যাবস্থা করা হবে।
সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি মিলনায়তনে ফিমেইল একাডেমি ও গ্রামীন জনকল্যাণ সংসদের আয়োজনে ‘হাওরাঞ্চলে শিক্ষার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি হাওরাঞ্চলের সন্তান। এ এলাকায় লেখাপড়া করেছি। আমি জানি, এখনকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কি কি সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়।
হাওরাঞ্চলের জন্য আলাদা শিক্ষা নীতিমালার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এখানকার একেকটি গ্রাম একেকটি দ্বীপের মতো, বিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষকদের আবাসিক ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক ও কর্মকর্তা সংকট রয়েছে। সব সমস্যা আমার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে পরিকল্পনা নেওয়া হবে। হাওর পার থেকে অনেক মেধাবীর জন্ম হয়েছে। বাস্তবমুখী প্রদক্ষেপ নিয়ে হাওরাঞ্চলের শিশুদের মেধা বিকাশে কাজ করবে সরকার।
ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দিরাই প্রেস ক্লাব সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান, পরিচালক ড. আতাউল গনি, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খোন্দকার।
এছাড়া প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতারা আলোচনা সভায় অংশ নেন। সকাল ১১টা থেকে তারল, রামপুরসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তারা।