সুষম খাদ্যের কথা উঠলেই ফলকে প্রায়শই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এগুলো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। এছাড়া ক্যালোরিও থাকে কম। কিন্তু, এমন কিছু ফল আছে যা ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য বিপজ্জনক।
কি সেই ফল, চলুন জেনে নিই।
কিছু ফল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিপজ্জনক কেন
এমন কিছু ফল আছে, যাতে রয়েছে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। যেগুলি খাওয়ার সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে শরীর গ্লুকোজ ভাঙতে লড়াই করতে হয় এবং টাইপ ১ ও ২ ডায়াবেটিস হতে পারে।
এছাড়া বিশেষজ্ঞরাও ডায়াবেটিক রোগিদের উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) যুক্ত ফল এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেন।
কোন কোন ফলে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স পাওয়া যায়, চলুন দেখে নিই।
কলা: এই ফলে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, যা নিয়মিত খাওয়ার সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
যে উপায়ে মুখের দুর্গন্ধ দূর করবেন নিমিষেই
আঙুর: বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলের উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
চেরি: যদিও এটিকে বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়, তবে এতে চিনির পরিমাণ বেশি হতে পারে।
আম: এই ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু, তবে চিনির পরিমাণও বেশি। নিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়া না হলে রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে এই ফল।
আনারস: এই ফলটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চিনি রয়েছে, যা রক্তে শর্করার উপস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না, বুঝবেন যেভাবে
ডুমুর: যদিও এই ফলকে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ধরা হয়, তবে এটিতে শর্করা বেশি এবং দ্রুত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে।
ড্রাই ফ্রুট: প্রায়শই শর্করা ও ক্যালোরিতে ভর্তি থাকে এটি, তাই বিপজ্জনক হতে পারে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়।
খেজুর: খেজুর খুব মিষ্টি এবং এতে যে শর্করা থাকে তা রক্তে গ্লুকোজের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। এছাড়াও, তাদের একটি মাঝারি গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, তাই ডাক্তাররা খেজুর না খেতে ডায়াবেটিক রোগীদের পরামর্শ দেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে মসলা
কমলালেবু: যদিও এই ফলের জিআই মাত্রা কম থাকে, কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে যখন বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়।