প্রতিদিন সকালে ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকা অথবা কোষা নৌকায় করে সবুজ ঘাস নিয়ে বাহ্রাঘাটের পাশে বটতলায় ঘাসের হাটে আসেন ঘাস বিক্রেতারা। সেই ঘাস কিনে নেন কৃষক, গৃহস্থ, গরুর খামারিসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন। দোহারের মাহমুদপুর এলাকার ছোট খামারি আব্দুর রহিম বলেন, গরুকে কুঁড়া ভূষির সঙ্গে কিছু তাজা ঘাস খাওয়াতে হয়। তাই প্রতিদিন সকালেই এই ঘাটে থেকে ঘাস কিনতে আসেন। মাশকলাই, কলমি, দূর্বাঘাস, কাঁশফুল ও নেপিয়ারসহ নানা জাতের ঘাস পাওয়া যায় এখানে।
স্থানীয় কয়েকজন ঘাস বিক্রেতা জানালেন, ২০০৩ সালের দিকে পদ্মা নদীর ভাঙনে তাঁদের বসতবাড়ি বিলীন হয়। এতে তাঁরা ঠাঁই নেন পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরে। এর পর থেকে তাঁরা পদ্মা চর থেকে ঘাস কেটে দোহারের বাহ্রাঘাট, মৈনটঘাট, ধোয়াইর বাজার, মেঘুলা রানীপুর, বিলাশপুর ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাসের হাটে ঘাস বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা তাঁদের গরু-ছাগলের জন্য এসব তাজা ঘাস ও লতাপাতা কিনে থাকেন।