এদিকে গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন সচিবালয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। বৈঠকে বাণিজ্যসচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এবং সিটি গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ভোজ্যতেলের সার্বিক দিক তুলে ধরে বিটিটিসি। ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানান। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হার ১০ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও এক মাস আগেই (গত ১৭ অক্টোবর) মূসক হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। গতকাল মূসক কমানোর সিদ্ধান্তের পরে উৎপাদকেরা বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়াতে রাজি হয়েছেন।
এ বিষয়ে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী একটি কোম্পানির কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। ফলে সরকার মূসক পুরোপুরি প্রত্যাহার করলেও উৎপাদকেরা বাজার অনুসারে মূল্য সমন্বয় করতে পারছেন না। তার পরও তাঁরা সরকারকে সহযোগিতা করতে বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়াবেন।