যশোরের ঝিকরগাছায় কানের সোনার দুল নিতে সাদিয়া খাতুন (৭) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একটি বাগান থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এক মুনতাহার শোক কাটতে না কাটতেই আবারও হারাতে হলো সাদিয়াকে। নিহত সাদিয়া খাতুন উপজেলার মাটিকোমরা গ্রামের বাবলুর রহমানের মেয়ে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, আটক চম্পা খাতুন প্যাথেড্রিনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকসেবী বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সাদিয়ার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশুর দাদা ফজলুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঝিকরগাছা থানায় একটি জিডি করা হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাদিয়াকে তার প্রতিবেশী ফুফু চম্পার সঙ্গে দেখা গেছে। সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রামবাসী চম্পাকে রাতেই ঝিকরগাছা থানায় সোপর্দ করে। এরপর রাত বারোটার দিকে বাড়ির পাশে একটা বাঁশ বাগান থেকে সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি বাবলুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন। এ সময় তাঁরা চম্পা খাতুনের ওপর তাঁদের সন্দেহের কথা জানান। গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের হারুন অর রশিদের বাগান থেকে শিশু সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কানের সোনার দুল নিতে শিশুর গায়ের গেঞ্জি পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের প্রতিবেশী চম্পা খাতুনকে (২০) আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে দিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, কানে থাকা সোনার দুল নেওয়ার জন্য ওই শিশুর গায়ের গেঞ্জি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।