নাটকের দল বাংলা মুভমেন্ট মঞ্চে নিয়ে আসছে ময়নামতীর ইতিহাসাশ্রয়ী ও কল্পনাশ্রয়ী বিয়োগান্ত নাটক ‘যোদ্ধা’। রবিবার (১০ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্রেডি আর্টস সেন্টারের স্টুডিও থিয়েটারে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ড. মুকিদ চৌধুরী।
নাটক প্রসঙ্গে ড. মুকিদ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের ভেতরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা কীভাবে অবচেতন চিন্তায় কুমন্ত্রণা দেয়, কীভাবে মানুষের ভেতরের গোপন বাসনাকে কালসাপের মতো উন্মাদ করে তোলে, স্বাভাবিক নীতিবোধকে অন্ধকারে ঢেকে দেয়, হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে সমস্ত বিবেক বিসর্জন দিয়ে আপন মানুষকে, যে তার সবচেয়ে শুভাকাঙক্ষাী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যা হতে পারে আর্থিকভাবে অথবা দৈহিকভাবে। তারপর নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়াসে একের পর এক বিধ্বংসী ও অমানুষিক পৈশাচিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়। অবশেষে নৃশংস হত্যা ও পাপকর্মের পরিণামস্বরূপ এই মানুষ নামের জীবটিরও মৃত্যু ঘটে শোচনীয়ভাবে। এই পাপাচার ও তার পরিণামের এক মর্মবিদারী বিষয়ই ‘যোদ্ধা’ নাটকের মূল উপজীব্য।’
‘যোদ্ধা’ নাটক প্রসঙ্গে কবি ও সাহিত্যিক মাহমুদ নোমান বলেন, ড. মুকিদ চৌধুরীর ভাষার মধ্যে জাদু আছে। ভাষার জাদুর মায়া-গভীর ভাব ও শাণিত বোধের খেয়ালে পাঠক আটকা পড়েন সহজেই; নিজেকে সঁপে দেওয়ার আকুলতা উদযাপন চমৎকার বুঝিয়ে দিতে পারঙ্গম। ‘যোদ্ধা’ পাঠ করতে করতে আমি যে পথে এগিয়ে গেছি প্রতিটি বাক্যে আলোড়িত হয়ে। কখনো নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়নি। বিচিত্র দৃশ্যের মুহুর্মুহু আলাপন নিবিড়তা ঘনিষ্ঠ সহযাত্রী করে নিয়েছে। অতিকথন নেই, সরাসরি সহজে পাঠকের অন্তরাত্মার রিলে একেকটা চরিত্রের সফল মঞ্চায়ন।
‘যোদ্ধা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ন করবেন— অর্ঘ্য বিশ্বাস, আন্নুর আলম, আরিফ আহমেদ, এ্যান্ডি লেনার্ড ডায়েছ, কাউসার ডালিম, কাওছার মিয়া, চন্দ্রকান্ত কামারি, জয়নব বিনতে সাঈদ, পারভেজ আহমেদ, ফারজানা আক্তার, মঈনুল ইসলাম, মোহাম্মদ তালহা কিবরিয়া, মুশফিকুর রহমান, মৌসুমী সামন্ত, রতন দাস, শাহনাজ সুমা, শুভ্র কান্তি দাস সাগর, সাদিয়া ইসলাম সাবা, সানজিদ কবির সানি।
প্রসঙ্গত, নাটকটির নেপথ্যের কুশীলব হিসেবে রয়েছেন: মঞ্চ- ড. হাসনীন চৌধুরী, আলোক সম্পাদক- সোনা মিয়া, প্রক্ষেপক- সাহাব-উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, সংগীত- শাকিল জয় ও শালীন রাশিদ এশা, বাদ্য- শুভজিৎ সাহা, উপঘ্ন- মিরা দাস ও শুভ্র সাহা, দলপ্রধান- অর্ঘ্য বিশ্বাস, প্রযোজক- মিঠুন চন্দ্র দাস। সহযোগিতায় রয়েছে অ্যা সিজন অব বাংলা ড্রামা।