|
বিয়ানীবাজারের শেওলায় ক্রাশারে ভাঙা হচ্ছে পাথর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শ্রমিকরা |
|
|
|
|
|
পরিবেশের তোয়াক্কা না করে শত শত নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙা হচ্ছে শেওলা স্থলবন্দরে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। উল্লিখিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসনের নীরবতার সুযোগ নিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা পাথর ভাঙা হচ্ছে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ক্রাশার মেশিন। এতে করে ভাঙা পাথরের মিহি গুঁড়া বাতাসের সঙ্গে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এ সমস্যার প্রতিকার চেয়েও কারও সহায়তা পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা যায়, এ কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরাও ঝুঁকিতে রয়েছেন। পাথর ব্যবসায়ীরা এই খাত থেকে কোটি টাকা আয় করলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেন না তারা। একটি নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিনে পাথর ভাঙতে একযোগে কাজ করতে হয় ২০ থেকে ২২ জন শ্রমিককে। তবে তাদের মেশিন পরিচালনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি নেই। স্থানীয়রা জানান, বছর তিনেক আগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙা বন্ধে প্রশাসন নির্দেশ দেয়। সে সময় পাথর ব্যবসায়ীরা প্রায় ৪০০ ক্রাশার মেশিন শেওলা স্থলবন্দর এলাকায় নিয়ে আসেন। সেই থেকে এখনও বহাল এসব নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন। দুয়েকবার উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়ম রক্ষার অভিযান পরিচালনা করা হলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। স্থলবন্দর গিয়ে দেখা যায়, শত শত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েকশ ক্রাশার মেশিন ব্যবহার হচ্ছে। অন্যের জমি বছরভিত্তিক লিজ নিয়ে এসব মেশিন বসানো হয়েছে। সম্প্রতি পাথর আমদানি কমে যাওয়ায় অনেক মেশিন পড়ে আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, এলসি খোলা থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় বন্ধ রয়েছে ক্রাশার মেশিন। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক। অপর এক ব্যবসায়ী জানান, শ্রমিকদের নিত্যদিনের খোরাক তিন থেকে চার হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা কোনো উত্তর দেননি। পাথর ভাঙার কাজে জড়িত শ্রমিকরাও এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। জনৈক মহিলা শ্রমিক জানান, এভাবে কাজ করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে রাতে ঘুমানোর সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক
:
মোঃ খয়রুল ইসলাম চৌধুরী
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ফায়েনাজ এপার্টমেন্ট,লেভেল : ১৪/সি,৩৭/২,পুরানা পল্টন(কালভার্ট রোড),ঢাকা-১০০০
কল : ০১৬৭০-২৮৯২৮০, ০১৭১৮-৫১২৬১০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়
৫৪,গোল্ডেন টাওয়ার(নীচ তলা),আম্বরখানা,সিলেট।
E-mail : khairulchowdhury2018@gmail.com
|
|
|
|